বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জরুরি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা ছাড়া অন্য কোনো ভিসা প্রদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। গতকাল রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ‘‘বর্তমানে শুধু বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা পরিষেবা পুনরায় সম্পূর্ণরূপে চালু করা হবে।’’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় দূতাবাসের অনেক কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু ভিসার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তার কারণে ঢাকার ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে ক্ষুব্ধ লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, যার ফলে ভিসা প্রক্রিয়ায় আবারো বিঘ্ন ঘটে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার আবেদনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলো ভারত।
ভারতীয় দূতাবাস এবং ভিসা কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পর সেপ্টেম্বর থেকে জরুরি ভিত্তিতে ভিসা প্রদান শুরু হয়।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনার ভিসা কেন্দ্রগুলো খুলছে। তবে এখন সবার জন্য ভিসা উন্মুক্ত করা হয়নি। শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে ভিসা প্রদানও আগের মতো নিয়মিত হবে। আপাতত বাংলাদেশিদের শর্তসাপেক্ষে ভিসা প্রদান করা হবে।